শূন্য আবিস্কার বা শুন্যের ধারনা মানব জাতি এবং গণিতের জন্য বিশাল আবিষ্কার। শূন্যের ধারনা না থাকলে আজকের বিশ্ব কল্পনাই করা যেত না। শূন্যের উপর আজ নির্ভর করে টিকে আছে কম্পিউটার পুরা গাণিতিক হিসাব নিকাষ এর অ্যালগরিদম।
এটি কম্পিউটার এর ভিত্তি। শূন্যের ধারনা ছাড়া কম্পিউটার চলতে পারেনা। আমরা জানি কম্পিউটার ০ এবং ১ এই দুটো সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই চেনে না। আমরা কম্পিউটার এ যা কিছু লিখি, পড়ি, ভিডিও দেখি সবকিছুই কম্পিউটার ০ এবং ১ এ পরিবর্তন করে।
এই শুন্য আবিষ্কার মানুষের মনের এক আজব সৃষ্টি। জিরো মানে কিছু না বা কিছুই না থাকার এক আক্ষরিক প্রতীক মাত্র। বর্তমান বিশ্বে শূন্য সংখ্যার সাংকেতিক চিহ্ন এবং ধারণা উভয়ই জটিল সমীকরণ সমাধান করতে সাহায্য করে এবং আমাদের ক্যালকুলাস সমাধান করতে সাহায্য করে। এই নিবন্ধটি ভারতে জিরোর উদ্ভাবন সম্পর্কে জানব, কখন এবং কিভাবে জিরো বা শূন্য আবিষ্কার হয়েছিল ।
আমদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কোথা থেকে শূন্যের ধারনা প্রথম আসে এবং কিভাবে?
খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর দিকে শুন্য ভারতে সম্পূর্ণরূপে বিকাশ লাভ করেছিল বা প্রথমবারের মতো শূন্যের কথা কেবল ভারতে হয় ভারতীয় উপমহাদেশে শুন্যের ব্যবহার গণিতে ছিল । গাণিতিক হিসাব-নিকাষে ব্যবহারিত শূন্যএবং দর্শনের শূন্য একে অপরের সাথে সর্ম্পকিত , কিন্তু এক জিনিস নয়। ভারতীয় উপমহাদেশে দর্শনে শূন্য়র ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে পাওয়া যায়। হিন্দু শাস্ত্রে আছে এই মহাবিশ্ব শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
শূন্য শব্দটি এসেছে প্রাচীন হিন্দু সংস্কৃতি গ্রন্থগুলি থেকে এবং পিংলার চন্ডাহ সুত্রে (200 খ্রিস্টাব্দ) এই শূন্যের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
প্রথম দিকে সংখ্যা হিসেবে শূন্যের ব্যাবহার ছিল না । শুধু খালি স্থানের (Empty Space) ধারনা ছিল, যেটাকে প্রাসঙ্গিকভাবে বা কনসেপ্টচুয়ালি শূন্যের সাথা তুলনা করা যায়। ব্যাবিলনীয়রা খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ শতাব্দীতে অবস্থানগত স্বরলিপিটিতে একটি ফাঁকা জায়গা বোঝাতে তিনটি হুক ব্যবহার করে।
ঠিক একই সময়ে গ্রীক গণিতবিদগণ গণিতে কিছু অনন্য অবদান রেখেছিলেন। ইউক্লিড নাম্বার তত্ত্বের উপর একটি বই লিখেছিলেন, বইটির নাম এলিমেন্টস , তবে এটি সম্পূর্ণ জ্যামিতির উপর ভিত্তি করে ছিল এবং শূন্যের কোনও ধারণার কথা বলা হয়নি।
প্রায় ৬৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে, একটি সংখ্যা হিসাবে শূন্যের ব্যবহার প্রথম ভারতীয় গণিতে আসে। ভারতীয়রা একটি স্থান-মান ব্যবস্থা ব্যবহার করে এবং শূন্য স্থানটি শূন্য করার জন্য শূন্য ব্যবহৃত হত। প্রকৃতপক্ষে ভারতে 200 খ্রিস্টাব্দ থেকে পজিশনাল সংখ্যায় খালি স্থানধারীর প্রমাণ রয়েছে। প্রায় ৫০০ খ্রিস্টাব্দে আর্যাভট্ট একটি সংখ্যা ব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন, যেটা শূন্য ছিল না, কিন্তু অবস্থানিক ব্যবস্থা হিসাবে, তবে খালি স্থান বোঝাতে ব্যবহৃত হত। এছাড়া এটাও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে পূর্ববর্তী ভারতীয় পাণ্ডুলিপিগুলিতে অবস্থানিক স্বরলিপিটিতে একটি ফাঁকা জায়গা বোঝাতে একটি বিন্দু ব্যবহৃত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, '১০০' কে উপস্থাপন করা জন্য ১ এর পরে দুটি বিন্দু হবে।
https://pparihar.com/2014/04/02/concept-of-zero/
Comments1
viagra and grapefruit juice