গীতা এমন একটি ধর্মীয় গ্রন্থ যেটা প্রত্যেকটি মানুষের নিত্যদিনের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন যাপন ব্যবস্থার দিকনির্দেশিকা। আমরা যদি শুধু গীতার দিক নির্দেশনায় আমাদের জীবন ব্যবস্থা পরিচালনা করি তাহলে আমরা ইহলোকে , পরলোকে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করব।আজ আমাদের হিন্দু সমাজের অবস্থা খুবই শঙ্কাজনক , আমরা গীতার জ্ঞান না গ্রহন করে অন্যন্য তথাকথিত বিভিন্ন লোকের লেখা গ্রন্থ যা কিনা ধর্মীয় গ্রন্থ নামে পরিচিত , সেই সব গ্রন্থ থেকে জ্ঞান গ্রহন করছি। যেরকম সর্ব ধর্ম সমান এই রকম কিছু বানী যা আমাদের কোন শাস্ত্রে ও নাই, আর এই কারনে হিন্দু ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তর প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। আমরা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের নির্দেশ পালন না করে কোন সাধারন ব্যক্তিদের দেখানো মানব ধর্ম অনুশীলন করছি।কোনটা ধর্ম , কোনটা অধর্ম , কোনটা পাপ কোনটা পূণ্য সেটা বুঝতে পারছি না। ধর্মের স্বার্থে , সমাজের স্বার্থে কি মাঝে মাঝে হিংসা করা ও যে ধর্ম সেটা আমরা বুঝতে পারিনা। আমরা গীতাকে অনুসরন না করে আমরা কোন লোকেদের দেখান পথ অনুসরন করছি। মহাভারতের শিক্ষা থেকে এটা পরিষ্কার যে, সমাজে শান্তি ও সৃঙ্খলা বজায় রাখতে গেলে অন্যায়ের বিরোধিতা অবশ্যই করতে হবে এবং ধর্মের পক্ষে লড়াই করতে হবে। ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কোন সুযোগ নেই।এর প্রকৃত ও সুদৃঢ় উদাহরণ মহাভারতের অর্জুন। তিনি ব্যক্তিগত কারণে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ময়দান থেকে প্রথমে অধর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অস্বীকার করেছিলেন।এইরকম অনার্য ও অধর্মিকতার স্বভাবের জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে তিরস্কার করেছিলেন।ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তারপর তাকে গীতার জ্ঞান দান করেছিলেন , যার ফলে সে ধর্মীয় চেতনায় উদ্ধবুদ্ধ হয়ে অধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন ও জয় লাভ করেছিলেন। আজ আমরা গীতার আলোকে জানব ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করতে বলেছেন ।
বেদের অনুশাসন অনুযায়ী শত্রু ছয় প্রকার-১) যে বিষ প্রয়োগ করে, ২)যে ঘরে আগুন লাগায়, ৩)যে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে,৪)যে ধনসম্পদ লুন্ঠন করে, ৫)যে অন্যের জমি দখল করে, ৬)যে বিবাহিত স্ত্রীকে হরণ করে।
এই ধরনের আততায়ীদের অবিলম্বে হত্যা করার নির্দেশ শাস্ত্রে দেওয়া হয়েছে এবং এদের হত্যা করলে কোন পাপ হয় না। এই ধরনের শত্রূকে সমূলে বিনাশ করা প্রত্যেকটি সাধারন মানুষের কর্তব্য। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ও হয়েছিল এই ধরনের আততায়ীদের সমূলে বিনাশ করার জন্য, কিন্তু যুদ্ধের প্রারম্ভে সকল আত্মীয় স্বজন , ভাই, গ্রুদেব , পিতামহ দেখে অর্জুন তাদেরকে হত্যা না করে যুদ্ধ ক্ষেত্র ত্যাগ করবে বলেছিল, কিন্তু ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তাকে গীতার জ্ঞান দান করার ফলে অর্জুন তার আত্ম জ্ঞান ফিরে পান,যার ফলে তার মোহ ভঙ্গ হয় এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।
জাগতিক করুণা, শোক ও চোখের জল হচ্ছে প্রকৃত সত্তার অজ্ঞানতার বহিঃপ্রকাশ। অর্জুন যখন নিজের আত্মীয় স্বজন , ভাইদের দেখতে পেলেন , তখন তার মন করুণায় বিগলিত হয়ে গিয়েছিল, তিনি দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে গিয়েছিলেন যুদ্ধ করবেন কি করবেন না , অর্জনের এই অবস্থা দেখে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে বললেনঃ
যদিও অর্জুন ছিলেন ক্ষত্রিয়, তবুও যুদ্ধ করতে অস্বীকার করতে তিনি তার স্বধর্ম থেকে বিচ্যুত হচ্ছে ছিলেন । এই ধরনের কাপুরুষতা কেবল অনার্যের কাছ থেকেই আশা করা যায় । এভাবে কর্তব্য কর্ম থেকে বিচ্যুত হলে আধ্যাত্মিক জীবনে অগ্রসর হওয়া যায় না, এমন কি পার্থিব জগতে ও কাউকে যসশ্বী হওয়ার সুযোগ ও প্রদান করে না। আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি অর্জুনের এই তথাকথিত সহানুভূতিকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কখন ও ই অনুমোদন করেন নি।
অর্জুন যুক্তি দেখিয়েছিলেন, অত্যন্ত সম্মানীয় ভীষ্ম ও নিজেদের আত্মীয় স্বজন প্রতি উদার মনোভাবহেতু তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্র পরিত্যাগ করবেন, কিন্তু এই ধরনের মহানুভবতা হৃদয়ের দূর্বলতা ছাড়া আর কিছু নয়।এই ধরনের ভ্রান্ত মহানুভবতাকে মহজনেরা কখনও ই অনুমোদন করেন নি । সুতরাং শ্রীকৃষ্ণের পরিচালনায় অর্জুনের মতো পুরুষের এই ধরনের মহানুভবতা , অথবা তথাকথিত অহিংসা পরিতাগ করা উচিত।
জড় দেহের জন্ম হয় এবং এক সময় না এক সময় তার বিনাশ হবেই, কিন্তু আত্মা অবিনশ্বর তার কখনও ই বিনাশ হয় না।তাই জড় দেহটি আত্মার মত গুরুত্ব না । এই আত্মাই হচ্ছে জীবের প্রকৃত সত্তা,তাই দেহের বিনাশ হবার ভয়ে শোক করা নিতান্তই মূর্খতা।এই সত্য সম্মন্ধের যিনি অবগত তিনিই হচ্ছেন প্রকৃত জ্ঞানী এবং তিনি কোন অবস্থাতেই জড় দেহের জন্য শোক করেন না।
যুদ্ধ করা প্রত্যেকটি যোদ্ধার কর্তব্য। কর্তব্যের খাতিরে তাঁকে যদি তার বন্ধু- আত্মীয়-স্বজনদেরকেও যদি হত্যা করতে হয়, সেটা তাঁকে করতে হবে। কোন অবস্থাতেই এক জন ধর্ম যোদ্ধার তার ধর্ম যুদ্ধ থেকে পিছপা হওয়া যাবে না। তাঁকে তার ধর্ম রক্ষার জন্য অধর্মের বিরুদ্ধে সুখ-দুঃখ , লাভ-ক্ষতি সমজ্ঞান করে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।
অর্জুনকে তার ক্ষাত্র ধর্ম পালন করার উপদেশ দিয়ে ভগবান তাঁকে বললেন, এই ধর্ম যুদ্ধে তার যদি ও তার আত্মীয় স্বজনদের সাথে যুদ্ধ করা অত্যন্ত দুঃখ দায়ক এবং কষ্ট সাপেক্ষ , কিন্তু তবু তার কর্তব্যকর্ম সম্পাদন করার জন্য তার দেহজাত আত্মীয়তার বন্ধন থেকে তাঁকে মুক্ত হতে হবে।
প্রতি মুহূর্তে এই জড় দেহের পরিবর্তন হচ্ছে - এই দেহের কোন স্থায়ীত্ব নেই। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে ও জানা যায় , বিভিন্ন কোষের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফলে প্রতি মুহূর্তে জীবদেহের অবীরাম পরিবর্তন ঘটে চলেছে, তার ফলে জীব দেহ শিশু অবস্থা থেকে ক্রমে ক্রমে পূর্ণ যৌবনে বিকশিত হয়। কিন্তু দেহ ও মনের সব রকম পরিবর্তন হওয়া স্বত্তেও জীবের প্রকৃত স্বত্তা আত্মার কোন পরিবর্তন হয় না। যারা প্রকৃত তত্ত্ব দ্রষ্টা জ্ঞানী তারা এই জড় দেহ ও আত্মা সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতে পেরে কখন দেহের পরিবর্তনে মোহগ্রস্থ হন না।
,
বৈভাষিক দর্শনের মতো অর্জুন যদি আত্মার অস্তিত্বে অবিশ্বাস করতেন, তাহলে ও তার শোক করার কোন ও কারন ছিল না।কিছু পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থের বিনাশের জন্য কেউ শোক করে না এবং কর্তব্য কর্ম থেকে বিরত হয় না। পক্ষান্তরে আধুনিক বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক যুদ্ধ বিগ্রহে শত্রু জয় করার জন্য উদ্দেশ্যে কত টন টন রাসায়নিক উপাদান তো নষ্ট হচ্ছে।বৈভাবিক দর্শন অনুসারে দেহের সাথে সাথে আত্মার ও বিনাশ হয়।সুতরাং, অর্জুন যদি বৈদিক মতবাদ অস্বীকার করে আত্মাকে নশ্বর বলে মনে করতেন অর্থাৎ দেহের সঙ্গে সঙ্গে আত্মার ও বিনাশ হয় মনে করতেন তাহলে ও তার অনুশোচনা করার কোন কারন ছিল না। এই মতমাদ অনুসারে যেহেতু ঘটনাচক্রে প্রতিমুহূর্তে অসংখ্য জীবের উদ্ভব হচ্ছে এবং প্রতি মহূর্তে এই অসংখ্য জীব বিনাশ প্রাপ্ত হয়ে জড় পদার্থে পরিণত হচ্ছে , তাই এর জন্য দুঃখ করার কোন কারন নেই।এই মতবাদের ফলে যেহেতু পুনর্জন্মের কোন প্রশ্নই ওঠে না তাই অর্জুনের পিতামহ , আচার্য -আদি অত্মীয়-পরিজনদের হত্যা জনিত পাপের ফল ভোগ করার ও কোন ভয় নে
অর্জুন যখন বলেছিলেন, "এই যুদ্ধে কোন লাভ নেই। এই পাপের ফলে আমাকে অনন্ত কাল ধরে নরক-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।" তখন সমস্ত জগতের পরম গুরু ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তাঁকে তিরস্কার করে বলেছিলেন, তার এই উক্তি মূর্খতারই পরিচায়ক।তার স্বধর্ম -ক্ষাত্র ধর্ম পরিত্যাগ করে অহিংস নীতি অবলম্বন করা অনুচিত। যুদ্ধ ক্ষেত্রে ক্ষত্রিয় যদি অহিংস নীতি অবলম্বন করে তবে তাঁকে মস্ত বড় মূর্খ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। পরাশর-স্মৃতিতে ব্যাসদেবের পিতা পরাশর মুনি বলেছেন--
ক্ষত্রিয়ো হি প্রজা রক্ষন্ শস্ত্রপাণিঃ প্রদন্ডয়ন্ ।
নির্জিত্য পরসৈন্যাদি ক্ষিতিং ধর্মেৎ পালায়েৎ।।
"সব রকম দুঃখ-দুর্দশা থেকে রক্ষা করে প্রজা-পালন করাই হচ্ছে ক্ষত্রিয়ের ধর্ম এবং সেই কারণে নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখবার জন্য তাঁকে অস্ত্রধারন পূর্বক দন্ডদান করতে হয়।তাই তাঁকে বিরোধী ভাবাপন্ন রাজার সৈন্যদের বলপূর্বক পরাজিত করতে হয় এবং এভাবেই ধর্মের দ্বারা পৃথিবী পালন করা উচিত "। সবদিক থেকে দেখলে দেখা যায় অর্জুনের যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার কোন কারনই ছিল না। যুদ্ধে যদি তিনি জয় লাভ করতেন তাহলে রাজ্য সুখ ভোগ করতেন এবং নিহত হলে স্বর্গ লাভ করতেন। আর যুদ্ধ থেকে বিরত থাকলে যে পাপ হত তার ফলে তাঁকে দুঃখ ভোগ করতে হত।
অর্জুনের বীরত্বের খ্যাতি ছিল সর্বজনবিদিত ।তিনি মহাদেবের মতো দেবতাদেরও যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন। কিরাতরূপী মহাদেবকে পরাজিত করলে, সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে পাশুপাত নামক এক ভইয়ঙ্কর অস্ত্র দান করেন। তার অস্ত্র শিক্ষা গুরু দ্রোণাচার্য ও তাঁকে আশীর্বাদ করেছিলেন এবং এমন একটি অস্ত্র দান করেছিলেন যা দিয়ে দ্রোণাচার্যকে পর্যন্ত হত্যা করতে পারতেন।তার ধর্ম পিতা ইন্দ্র ও তাঁকে তার বীরত্বের জন্য পুরস্কৃত করেন।এভাবে অর্জুনের বীরত্বের গাথা বিশ্বব্রহ্মান্ডে সুবিদিত ছিল। তাই তিনি যদি যুদ্ধ বিমুখ হয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্র পরিত্যাগ করতেন, তবে তিনি কেবল ক্ষাত্র ধর্মেরই যে অবহেলা করতেন তা নয়, সেই সঙ্গে তার বীরত্বের গৌরব নষ্ট হত এবং তাঁকে নরকগামী হতে হতো। পক্ষান্তরে, যুদ্ধ করার জন্য অর্জুনকে নরকে যেতে হতো না, বরং যুদ্ধ না করার জন্যই তাঁকে নরকে যেতে হত ।
ভগবান বলছেন, "অর্জুন ! যুদ্ধ শুরু হওইয়ার পূর্বেই যদি তুমি যুদ্ধ ক্ষেত্র পরিত্যাগ কর , তবে সকলে বলবে -তুমি কাপুরুষ।তোমার মতো যশস্বী ও মহানুভব বীরে পক্ষে এই কুখ্যাতির চেয়ে মৃত্যুবরণ করা শ্রেয়। তাই প্রাণ রক্ষার জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্র পরিত্যাগ করার চাইতে যুদ্ধে প্রাণ ত্যাগ করা অনেক ভাল। তার ফলে তুমি আমার বন্ধুত্বের মর্যাদা রক্ষা করবে এবং সমাজে তোমার সুনাম ও অক্ষুন্ন থাকবে।" এভাবেই ভগবান অর্জুনকে বোঝালেন , যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করার চাইতে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ ত্যাগ করা অনেক শ্রেয়।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে তার মতামত ব্যক্ত করে বললেন, "অর্জুন ! তুমি মনে করো না যে দুর্যধন , কর্ণ আদি রথী-মহারথীরা মনে করবে , তুমি করুণার বশবর্তী হয়ে যুদ্ধ করতে বিমুখ হয়েছ । তারা বলবে তুমি প্রাণ ভয়ে ভীত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন করেছ। ফলে, তোমার প্রতি তাদের যে উচ্চ ধারনা আছে, তা নস্যাৎ হবে"।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের অভাবনীয় হৃদয়-দৌর্বল্য দেখে আশ্চর্যান্বিত হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, এই ধরনের মনোভাব শুধু অনার্যদেরই শোভা পায়।অর্জুনের মতো ক্ষত্রিয় বীরের পক্ষে তা সম্পূর্ণ অসঙ্গত। তাই তিনি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে বোঝালেন, অর্জুনের মতো ক্ষত্রিয়ের হৃদয়ে এই অনার্যোচিত দৌর্বল্যের কোন স্থান নেই।
যুদ্ধে যদি অর্জুনের জয় সুনিশ্চিত নাও হত , তবুও তাঁকে সেই যুদ্ধ করতেই হত।কারণ সেই যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিহত হলে ও , তিনি স্বর্গ লোকে উন্নীত হতেন।
ভগবান এখানে স্পষ্টভাবে অর্জুনকে বলেছেন , জয়-পরাজয়ের বিবেচনা না করে শুধু কর্তব্যের খাতিরে যুদ্ধ করার জন্য যুদ্ধ করতে হবে। কারণ ভগবানের ইচ্ছা অনুসারেই এই যুদ্ধের আয়োজন করা হয়েছে। স্বয়ম ভগবান ছাড়া কেউ তার কর্মের ফলাফল নির্ধারন করতে পারেনা।সাধারন অবস্থায় প্রতিটি কর্মের জন্য মানুষকে কার না কারোর কাছে কৈফিয়ৎ দিতে হয়, কিন্তু ভগবানের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে কর্ম করলে আর সেই সমস্ত বন্ধন থাকে না।
Comments6
when to take cialis
cialis use by date
ivermectin paste for goats Cenforce tablet
budesonide inhaler side effects vidalista
fildena tablet price Stay up-to-date on the latest advancements
levitra generico Verified info in the air pills. Get here.