মারাঠা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ১৬৩০ সালে।তিনি একজন প্রকৃত শাসক এবং যোদ্ধা ছিলেন ।
ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ছিলেন ভারতের সবচেয়ে সাহসী, সবচেয়ে প্রগতিশীল ও বুদ্ধিমান শাসক। মারাঠা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৬৩০ সালে বিখ্যাত শিবনারী দুর্গে জন্মগত নেতা ও যোদ্ধা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আজ অবধি, দিবসটি মারাঠাদের দ্বারা অত্যন্ত কঠোর এবং ঐতিহ্যবাহী শৈলীতে শিবজয়ন্তী হিসাবে পালিত হয়।
ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ তার প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে তার রাজকীয় নাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাথে মারাঠা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষন করেছিলেন। তিনি তাঁর সাহসীকতা এবং কৌশলির জন্য বিখ্যাত ছিলেন যা দিয়ে তিনি মুঘলদের বিরুদ্ধে অসংখ্য যুদ্ধে জয়ী হন। তাঁর জন্মদিনে সর্বশ্রেষ্ঠ মারাঠা শাসকের কথা স্মরণ করে শিবাজী সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য এখানে তুলে ধরছি।
১. ভারতীয় নৌবাহিনীর জনক হিসাবে খ্যাত, শিবাজী সর্বপ্রথম নৌ বাহিনী থাকার গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন এবং তাই মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন দিককে রক্ষার জন্য তিনি কৌশলগতভাবে উপকূলরেখায় একটি নৌবাহিনী এবং দুর্গ স্থাপন করেছিলেন। জয়গড়, বিজয়দুর্গ, সিন্ধুদুর্গ এবং এই জাতীয় দুর্গগুলি এখনও তাঁর প্রচেষ্টা এবং ধারণাগুলির সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।
২. প্রচলিত বিশ্বাসের বিপরীতে শিবজির নাম শিবের নামে রাখা হয়নি। বাস্তবে, তাঁর নামকরণ হয়েছিল আঞ্চলিক দেবী শিবাইয়ের নামে। তাঁর মা দেবীর কাছে পুত্রের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন এবং তাঁর এক সন্তানের আশীর্বাদ হয়। তার কাজের জন্য তাকে দেবতার মতো রুপ বিশিষ্ট সন্তান দিয়েছিল তাই ঐ দেবীর নাম থেকে, তাঁর নাম হয়।
৩.তিনি ছিলেন একজন ধর্মনিরপেক্ষ শাসক ,সকল ধর্মাবলম্বীদের সম্মান করতেন। তাঁর সেনাবাহিনীতে অসংখ্য মুসলিম সৈন্য ছিল। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল মোগল শাসনকে উৎখাত করে মারাঠা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। যারা হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হতো তাদের তিনি খুব সমর্থ করতেন।
৪. শিবাজি মহিলাদের খুব সম্মান করতেন। তিনি মহিলাদের বিরুদ্ধে সব ধরণের সহিংসতা, হয়রানি ও অসম্মানের বিরোধিতা করতেন। তার শাসন আমলে যদি কেউ কোন মহিলার অধিকার লঙ্ঘন করত তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হত। তার দ্বারা দখলকৃত অঞ্চলগুলোর বন্দী মহিলা্দেরকে বিনা ক্ষতিপূরণে এবং সম্মানের সাথে মুক্তি দিয়ে দিতেন।
৫. ছত্রপতি শিবাজীকে 'পর্বতমালা' হিসাবে অভিহিত করা হত এবং গেরিলা যুদ্ধের কৌশলগুলির জন্য তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিল। তাঁর ভূমির ভূগোল সম্পর্কে অনেক জ্ঞান ছিল এবং তাঁর শত্রুদের আক্রমণ, এবং হঠাৎ আক্রমণাত্মক হামলার মতো গেরিলা কৌশল অবলম্বন করতেন। তিনি একটি ভালো সেনাবাহিনীর গুরুত্ব জানতেন এবং তাঁর দক্ষতা দিয়ে তাঁর বাবার ২০০০ সৈন্যবাহিনীকে ১০,০০০ সৈন্যে প্রসারিত করেছিলেন।
Comments